হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়! এখন আয় হবে ঘরে বসেই!
হোয়াটসঅ্যাপে সম্প্রতি যে নতুন ফিচারগুলো এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো চ্যানেল। বাংলাদেশসহ ১৫০টি দেশে কিছুদিন আগেই এ ফিচারটি চালু করেছে হোয়াটস্যাপের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা মেটা। ঘরে বসেই আয় করাসহ আরও নানা সুবিধা পাওয়া যাবে এই চ্যানেলের মাধ্যমে! তাই ফিচারটি আসতেই হুড়াহুড়ি পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়।হোয়াটসঅ্যাপে চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়
মেটা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চ্যানেল বানিয়ে কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন। শুধু সামাজিক পরিচিতি নয়, বেশ কিছু উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনেরও সুযোগ রয়েছে।পণ্য বিক্রির সুবিধা
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন মার্চেন্ডাইস এবং অ্যাক্সেসরিজও বিক্রি করার সুবিধা রয়েছে। কারও কোনো ব্যবসা না থাকলেও সে বিভিন্ন গ্রাফিক্স টেম্পলেট, ই-বুক, অনলাইন কোর্স, ডিজিটাল প্রোডাক্টস ইত্যাদি প্রমোট করতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে।আরও পড়ুনঃ অচেনা নম্বর থেকে কল আসলে কী করবেন? জানুন হোয়াটসঅ্যাপ সুরক্ষা টিপস!
ক্যাটালগ দেখিয়ে উপার্জনের উপায়
ছোট কোনো ব্যবসা থাকলে এই চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যাবে। চ্যাটের মাধ্যমে নিজের ক্যাটালগ দেখানো যাবে। আর তাদের অর্ডার নেয়া এবং পেমেন্ট সাপোর্টও দেয়ার সুযোগ থাকছে।লিঙ্ক পাঠিয়ে উপার্জন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি বিপণন ব্যবস্থা, যেখানে কোনো অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে বহিরাগত ওয়েবসাইটের সূত্রে (রেফারেন্সে) কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি হলে বিক্রেতা সেই অ্যাকাউন্টকে তার লাভের একটি অংশ কমিশন হিসেবে দিয়ে থাকেন। বর্তমানে অনলাইনে আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় এটি। আর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলেও রয়েছে সেই সুযোগ। সাবস্ক্রাইবার ও ফলোয়ারদের সেসব পণ্যের লিঙ্ক পাঠাতে পারেন, যা থেকে আয় হতে পারে আপনারও।ওয়ার্কশপ তৈরি করা
রান্না, আঁকা, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি ইত্যাদির ওপর অনেকের খুব দক্ষতা আছে। এসব বিষয়ের ওপর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে ওয়ার্কশপ তৈরি করতে পারেন। এতে একটি চার্জ নিতে পারেন কাস্টমারদের থেকে। হোয়াটসঅ্যাপে যেহেতু ভিডিও, অডিও কলের সুবিধা রয়েছে তাই ওয়ান-অন-ওয়ান কোচিংও করাতে পারেন।ফ্রিল্যান্সিংয়ে সুবিধা
বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনেকেরই ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় ক্যারিয়ার পছন্দ হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য একাধিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ যেহেতু একটি পার্সোনাইলজড অ্যাপ তাই এখানে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে খুবই স্বচ্ছভাবে নিজের দক্ষতা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি লেখালিখি করতে ভালবাসেন কিংবা ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ও প্রোগ্রামিং জানেন তাহলে নিজের চ্যানেল বানিয়ে ফলোয়ারদের সেই পরিষেবা দিতে পারেন।আরও পড়ুনঃ হোয়াটসঅ্যাপে সিক্রেট কোড কীভাবে ব্যবহার করবেন?
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
এনহ্যান্সড ডিরেক্টরি
আপনি আপনার দেশের এবং অটোমেটিক্যালি ফিল্টার করা যেকোনো চ্যানেল খুঁজে নিতে পারবেন। পাশাপাশি সেই সব চ্যানেল ফলো করতে পারবেন, যেগুলো অধিক সক্রিয় এবং বেশি ফলোয়ারের ভিত্তিতে জনপ্রিয়।রিঅ্যাকশনস
বিভিন্ন চ্যানেলের বিভিন্ন আপডেটে ইমোজি রিঅ্যাকশন করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন।এডিটিং
একটি চ্যানেলের অ্যাডমিন তার আপডেটের পরিবর্তন সম্পাদনা করতে পারবেন ৩০ দিন পর্যন্ত। এর পরে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভার থেকে ডিলিট হয়ে যাবে।ফরোয়ার্ডিং
আপনি যখন কোনো আপডেট অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট বা গ্রুপে পাঠাবেন, তখন সেই চ্যানেলের একটি লিঙ্কও তাতে যুক্ত থাকবে। যাতে করে ব্যবহারকারীরা সেই বিষয় ও চ্যানেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন।কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল তৈরি করবেন?
- প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ বিসনেজ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর পর আপডেট ট্যাবে প্লাস (+) আইকনে ক্লিক করতে হবে।
- এই অপশনে ক্লিক করার পর নিউ চ্যানেল অপশন দেখতে পাবেন
- নিউ চ্যানেলে ক্লিক করে গেট স্টার্টেডে প্রবেশ করে অনস্ক্রিন ইনস্ট্রাকশনসে লেখা কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
- এরপর চ্যানেলের নাম দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন