তসলিমা নাসরিনের কিছু বিতর্কিত উক্তি
তসলিমা নাসরিন একজন বিশিষ্ট বাঙালি বিতর্কিত লেখিকা। বিভিন্ন সময় ধর্ম, সমাজ, এবং নারীকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য পরিচিত ও নিন্দিত। এখানে তাঁর কিছু বিতর্কিত উক্তি তুলে ধরা হলঃ
ধর্ম মানুষকে মানবিক করতে পারেনি, বরং মানুষকে অমানবিক করেছে।
নারী যদি পুরুষের সমান হয়ে যায়, তাহলে সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা বা বিশ্বাস দেখানোর অর্থ এটা নয় যে আমি তার অপবাদের সমর্থন করি।
আমি মনে করি, ধর্মের কোনও প্রয়োজন নেই, মানুষের মধ্যে মানবতা থাকাই যথেষ্ট।
নারীর শরীর কখনোই পুরুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না।
যে সমাজ নারীদের স্বাধীনতা দিতে পারে না, সে সমাজ সভ্য নয়।
ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভাজন করা এক ধরনের অপরাধ।
আমি একজন লেখক হিসেবে সমাজের ভুলগুলো তুলে ধরেছি, আর এজন্যই আমাকে নির্বাসিত হতে হয়েছে।
ধর্মের নামে কুসংস্কার এবং বৈষম্য প্রচলিত হয়েছে, যা আমাদের সমাজকে পিছিয়ে দিয়েছে।
আমি সত্য কথা বলার জন্য নিগৃহীত হয়েছি, তবুও আমি সত্য বলব।
নারীর অধিকার আদায়ের জন্য নারীদের নিজেদেরই সংগ্রাম করতে হবে।
ধর্ম সবসময় মানুষকে শৃঙ্খলিত করতে চেয়েছে, মুক্তি দিতে নয়।
যেখানে নারীকে স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কথা বলতে দেওয়া হয় না, সেখানে সমাজ কখনোই এগোতে পারে না।
আমি আমার কলম দিয়ে ধর্মের মুখোশ খুলে দেখিয়েছি।
মানুষের স্বাধীনতা এবং চিন্তার স্বাধীনতার উপরে কোনো কিছুই হতে পারে না।
যে সমাজে নারীরা কথা বলতে ভয় পায়, সেই সমাজের কোনো উন্নতি সম্ভব নয়।
ধর্ম একটি বিশেষ রূপে সমাজকে শাসন করতে চায়, যা আমি কখনোই মেনে নিতে পারিনি।
আমার লেখা যদি কারো জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে, তাহলে সেটা লেখার দোষ নয়, সমাজের দোষ।
ধর্ম কেবলমাত্র একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমি বিশ্বাস করি, নারীরা পুরুষের সমান নয়, বরং পুরুষের চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে।
ধর্ম নারীকে একটি নির্দিষ্ট ভূমিকায় বেঁধে রাখতে চায়, যা নারীর প্রকৃত স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করে।
মানুষের জন্মই তার সবচেয়ে বড় পরিচয়, ধর্ম নয়।
একজন নারী লেখক হলে তাকে সমাজ আরও কঠিনভাবে বিচার করে।
আমার জীবন, আমার পছন্দ; আমার স্বাধীনতা, আমার অধিকার।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাটা আমার কর্তব্য মনে হয়েছে, যদিও এজন্য আমাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
কথা বলার জন্য, লিখবার জন্য আমি জন্মেছি, আমি চুপ থাকতে পারি না।
যেখানে নারীর অধিকার নেই, সেখানে মানবাধিকার সম্পর্কেও কথা বলা যায় না।
ধর্মের নাম নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ না দিলে সমাজ আরও সুস্থ হতে পারে।
আমি কারো দাসী হতে চাই না, আমি একজন স্বাধীন নারী।
বই পোড়ানো আর চিন্তা পোড়ানো একই বিষয়।
আমি কেবল একটি মুক্ত সমাজে বিশ্বাস করি, যেখানে মানুষ তার চিন্তা ও বিশ্বাস নিয়ে স্বাধীন।
ধর্ম মানুষকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে পরাধীন করে রেখেছে।
যে সমাজে নারীদের সমান অধিকার নেই, সে সমাজ কখনোই সভ্য হতে পারে না।
আমি শৃঙ্খলিত হওয়ার জন্য জন্মাইনি, আমি স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য জন্মেছি।
আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ যারা করেছে, তারা আসলে সত্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
সমাজের তথাকথিত নিয়ম আমাকে কখনোই শৃঙ্খলিত করতে পারেনি।
আমি মানুষের জন্য লিখেছি, ধর্মের জন্য নয়।
যে সমাজে নারীকে সম্মান দেওয়া হয় না, সেই সমাজের উন্নতির স্বপ্ন দেখাও বোকামি।
ধর্ম মানুষকে কুসংস্কার ও বৈষম্যের চক্রে আবদ্ধ করে রাখে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে নারীদের নির্যাতিত করা হয়েছিল, তা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
নারী নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবতে পারলেই সমাজ এগোতে পারবে।
ধর্ম মানে বিশ্বাস, কিন্তু সেই বিশ্বাস যদি কুসংস্কার জন্মায় তবে তা ভুল।
আমি নারী, কিন্তু আমার লড়াই সব মানুষের জন্য।
সমাজের নিয়মগুলো বারবার ভাঙা প্রয়োজন, যদি তা স্বাধীনতায় বাধা দেয়।
মুক্তচিন্তার বিপক্ষে যারা দাঁড়ায়, তারা আসলে নিজেদের শৃঙ্খলিত করে রাখে।
আমার মতামত কঠিন, কারণ সত্য সবসময় সহজে মেনে নেওয়া যায় না।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর লড়াই অত্যন্ত কঠিন।
ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে আমার লড়াই কখনো থামবে না।
আমি সাহসী নই, আমি শুধুমাত্র সৎ।
সমাজকে বদলাতে হলে আগে আমাদের নিজেকে বদলাতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন