হোয়াটসঅ্যাপে যে ভুল করলে যেতে হবে জেলে!
বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নানান সুযোগ-সুবিধা দেয় মেটা। কিন্তু নিয়ম-নীতির ব্যাপারে খুবই কঠোর। যেমন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে কেউ বেআইনি বার্তা, ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করেন তবে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি অ্যাকাউন্টও ব্যান হতে পারে।হোয়াটসঅ্যাপে কী কী করা যাবে না
১। চাইল্ড পর্নোগ্রাফি
আপনি যদি ভুলবশত হোয়াটসঅ্যাপে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কোনও ছবি বা ভিডিও শেয়ার করেন, তাহলে আপনাকে জেলে যেতে হতে পারে। এই আইন লঙ্ঘনের কারণে বিশ্বে বহু মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অতএব, ভুল করেও, হোয়াটসঅ্যাপে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত সামগ্রী শেয়ার করবেন না।২। সামাজিক বৈষম্য প্রচার করে এমন ভিডিও
আপনি যদি এই প্ল্যাটফর্মে এমন কোনও ভিডিও, ছবি এবং বার্তা ভাইরাল করেন বা পাঠান, যা সমাজে বৈষম্য ছড়ায়, তবে আপনি আইন লঙ্ঘন করছেন। আপনার যদি হোয়াটসঅ্যাপে এমন কোনও ভিডিও থাকে তবে তা ফরওয়ার্ড করার পরিবর্তে অবিলম্বে মুছে ফেলুন। সমাজে বৈষম্য ছড়ায় এমন বার্তা, ভিডিও এবং ছবি শেয়ার করার জন্য আপনার জেল হতে পারে।আরও পড়ুনঃ হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ছবির রেজ্যুলেশন ঠিক রাখার উপায়
তাই হোয়াটসঅ্যাপে আসা প্রতিটি খবর অবিলম্বে শেয়ার না করা গুরুত্বপূর্ণ। আগে যাচাই করুন এটা ঠিক না ভুল।
৩। ভুয়া খবর শেয়ার করা
হোয়াটসঅ্যাপের নীতি ভুয়া খবরের ক্ষেত্রেও কঠোর। এছাড়া ভুয়া খবর নিয়েও বিভিন্ন দেশের সরকার অ্যাকশন মোডে রয়েছে। ভুয়া খবরের কারণে যদি সমাজ ও দেশে সহিংসতা বা বৈষম্যের মতো বিষয় ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা হবে আইনগত অপরাধ। এই পরিস্থিতিতে আপনি যদি হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেন, অর্থাৎ প্রচার করেন, তাহলে আপনাকে জেলে যেতে হতে পারে।তাই হোয়াটসঅ্যাপে আসা প্রতিটি খবর অবিলম্বে শেয়ার না করা গুরুত্বপূর্ণ। আগে যাচাই করুন এটা ঠিক না ভুল।