ফেসবুক মেসেঞ্জারে কমিউনিটিজ চালু হচ্ছে
মেটা ফেসবুক মেসেঞ্জারে কমিউনিটি চ্যাটস চালু করে ২০২২ সালে। নির্দিষ্ট কোনো ফেসবুক গ্রুপের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে কমিউনিটি চ্যাট ব্যবহার করে। এবার কমিউনিটিজ নামে আলাদা নতুন একটি সুবিধা আনতে যাচ্ছে মেটা। নাম এক রকম হলেও কমিউনিটি চ্যাট ও কমিউনিটিজের মধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। কমিউনিটি চ্যাট করতে হলে ফেসবুকের নির্দিষ্ট গ্রুপের সদস্য হওয়া জরুরি, কিন্তু কমিউনিটিজে ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত না হয়েও পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।
আরও পড়ুনঃ ফেসবুকে নির্দিষ্ট ব্যক্তির পোস্ট দেখতে না চাইলে কী করবেন?
ফেসবুক মেসেঞ্জারের কমিউনিটিজ সুবিধাটি অনেকটা হোয়াটসঅ্যাপের মতোই। হোয়াটসঅ্যাপে ২০২২ সালে কমিউনিটিজ চালু করা হয়। মেসেঞ্জারের কমিউনিটিজ সুবিধা ব্যবহারের করে
কোনো নির্দিষ্ট ফেসবুক গ্রুপের সদস্য না হয়েও পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। অনেকগুলো গ্রুপ চ্যাটকে একটি কমিউনিটিতে রাখা যাবে। প্রতিটি কমিউনিটিতে হোম নামে একটি স্থান থাকবে, যেখানে কমিউনিটি এডমিনরা যেকোনো নতুন তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন। কমিউনিটিজে থাকা গ্রুপ চ্যাট করার পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিকে কমিউনিটিজে যুক্ত করা যাবে। একটি কমিউনিটিজে এক সাথে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ব্যবহারকারী যুক্ত থাকতে পারবেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অথবা কোনো আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা ফেসবুক মেসেঞ্জারে কমিউনিটিজ তৈরি করে পরস্পরের সঙ্গে সহজে যুক্ত থাকতে পারবেন। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিরাও একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হতে কমিউনিটিজ ব্যবহার করতে পারেন। মেসেঞ্জারের কমিউনিটিজ ফিচারটির সাথে হোয়াটসঅ্যাপের একটি সুনির্দিষ্ট পার্থক্য হল হোয়াটসঅ্যাপ কমিউনিটিজে যুক্ত হতে ফোন নম্বর প্রয়োজন হয়, সেখানে ফেসবুক মেসেঞ্জার কমিউনিটিজে যুক্ত হতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন।
মেটার হেল্প পেজে জানানো হয়েছে, মেসেঞ্জার কমিউনিটিজের যোগাযোগের ধরন হবে সবার জন্য উন্মুক্ত, অর্থাৎ পাবলিক। এটিই ফেসবুক গ্রুপের সঙ্গে মেসেঞ্জার কমিউনিটিজের পার্থক্য। বিভিন্ন দেশে পর্যায়ক্রমে এই সুবিধাটি চালু করা হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন