জাতীয় নির্বাচনে টিকটক কি সত্যিই প্রভাব ফেলে

জাতীয় নির্বাচনে টিকটক কি সত্যিই প্রভাব ফেলে

জাতীয় নির্বাচনে টিকটক কি সত্যিই প্রভাব ফেলে

একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করতে টিকটক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আর তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে  প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের ভিডিও ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে যোগ দিয়েছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনের রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পও সেই একই কারণে সম্প্রতি টিকটকে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আকারে ছোট ভিডিওর পাশাপাশি ‘মিম’-এর ব্যবহার বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিম হলো মূলত হাস্যকর ছবি, ভিডিও বা লেখার বিষয়বস্তু, যা সাধারণত মানুষকে বিনোদন দিয়ে থাকে। হাস্যরসের পাশাপাশি অনেক সময় মিমের মাধ্যমে ব্যঙ্গও করা হয়। যারা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়, তাঁদের কাছে ‘মিম’ শব্দটি খুবই পরিচিত।

আরও পড়ুনঃ ম্যাসেজ পাঠিয়ে টিকটক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে হ্যাকাররা

বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে টিকটক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওসহ বিভিন্ন ধরনের মিমের উপস্থিতি দেখা গেছে। রাজনৈতিক সমাবেশ বা টক শোর আলাপ সব ভোটারের কাছে না পৌঁছালেও টিকটকের ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও বা হাস্যকর কোনো মিম ঠিকই চলে যাচ্ছে ভোটারের হাতে। আর তাই তরুণ ও নবীন ভোটারদের আকৃষ্ট করতে রাজনৈতিক নেতারা ‘মিম’ ও টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে এর মাধ্যমে অনেকে ভুল তথ্যও ছাড়াচ্ছেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মিম ও টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে তরুণদের ভুল তথ্য প্রদান করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রচার কাজে অনলাইন বিজ্ঞাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে কাজ করে।

নিজেদের প্রচারণা চালাতে বিজ্ঞাপন দিতেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর অর্থও খরচ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। শুধু তা-ই নয়, দলগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় তারকা বা ইনফ্লুয়েন্সারদের পেছনেও অংকে অর্থ ব্যয় করছে। সম্প্রতি জরিপ প্রতিষ্ঠান ‘হু টার্গেটস মি’ এর তথ্যমতে, যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি গত এক মাসে প্রায় ১৪ লাখ পাউন্ড খরচ করেছে।

শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও তৈরি ও বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য। অন্যদিকে কনজারভেটিভরা একই খাতে খরচ করেছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ পাউন্ড। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরাও পিছিয়ে নেই এই প্রতিযোগিতায়, দলটি প্রায় ৪৫ হাজার পাউন্ড খরচ করেছে এই খাতে। 

সম্প্রতি ভারতের জাতীয় নির্বাচনেও অনেক মিম শেয়ার করা হয়েছে বলে খবর আছে। বিভিন্ন হিন্দি সিরিয়ালের ভিডিও ও ছবির হাস্যকর বক্তব্য ডায়ালগ ব্যবহার করে এসব মিম তৈরি করা হয়েছে। ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ নাগরিকের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। এ বছর ভারতে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ তরুণ নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব তরুণ ভোটারদেরকে প্রভাবিত করতে ‘মাই ফার্স্ট ভোট ফর মোদি’ শিরোনামে প্রচারণা চালায় নির্বাচনে বিজয়ী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। এই প্রচারনার অংশ হিসাবে মোদি সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমকে প্রচার করা হয় ১৫ সেকেন্ডের বিভিন্ন ভিডিওতে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Pagination Loadmore [Setting]