অ্যাড ব্লকার অন থাকলেই অডিও বন্ধ করে দেবে ইউটিউব

অ্যাড ব্লকার অন থাকলেই অডিও বন্ধ করে দেবে ইউটিউব

অ্যাড ব্লকার অন থাকলেই অডিও বন্ধ করে দেবে ইউটিউব


অনলাইনে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখা বন্ধ করার জনপ্রিয় এক উপায় হয়ে উঠেছে অ্যাড ব্লকিং ব্রাউজার এক্সটেনশনের মতো টুলগুলো। অ্যাড ব্লকিং বা ভিডিও’তে বিজ্ঞাপন দেখা বন্ধ করার ব্যবস্থা অকেজো করতে এবার নিজেদের ক্র্যাকডাউনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ইউটিউব, যার প্রভাব পড়তে পারে বিশ্বজুড়ে সকল ব্যবহারকারীদের ওপর।


গত সোমবার ব্যবহারকারীদের একটি অংশ অভিযোগ করে, অ্যাড ব্লকার সক্রিয় রেখে ইউটিউব ব্যবহার করার সময় তারা এক ‘আজব আচরণ’ লক্ষ্য করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভিডিও শেষ হওয়ার পূর্বেই তা বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ভিডিও চালু করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অডিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অভিযোগ।

ইউটিউবের রেডিট পেইজে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি যখনই ইউটিউব দেখতে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছি, তখনই কোনো শব্দ শোনা যাচ্ছে না।"

“আপনি হয়ত ভিডিও’র ‘ভলিউম স্লাইডার’ এক সেকেন্ডের জন্য সামঞ্জস্য করতে পারবেন, এর পরপরই তা আবার মিউট হয়ে যায়।”

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি অ্যাডব্লক চালু রেখে ইউটিউবে ভিডিও চালালে এর প্রথম এক সেকেন্ড শব্দ শোনা গেলেও এর পরপরই তা মিঊট হয়ে যাচ্ছে। ভিডিও’টি স্বাভাবিকভাবে চললেও এতে কোনো শব্দ শোনা যাচ্ছে না। আমি প্রায় ১০ মিনিট ধরে এটা ভেবেছি যে, আমার হেডফোন বা পিসি’তে নিশ্চয় কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষ কোনো না কোনো অ্যাড ব্লকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, যাদের মধ্যে তরুণদের এ প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি - গবেষণা কোম্পানি ‘সেনসাসওয়াইড’-এর করা সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গোটা বিশ্বে অ্যাড ব্লকিং সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা একশ কোটির কাছাকাছি - ডেটা সংগ্রাহক কোম্পানি ‘স্ট্যাটিস্টা’র প্রকাশিত তথ্য মতে এই ইঙ্গিত মিলেছে।

গত মাসে ইউটিউব ঘোষণা দিয়েছিল, যেসব থার্ড পার্টি অ্যাপ অ্যাড ব্লকিং সফটওয়্যার অফার করে, তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানি আইনী ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া, নিজেদের কমিউনিটি পেইজের এক পোস্টে ইউটিউব উল্লেখ করেছে, এ ধরনের কার্যক্রম তাদের নীতিমালা লঙ্ঘন করে।

ইউটিউব আরও ঘোষণা করে, “আমরা জোর দিয়ে বলছি, থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখানো বন্ধ করানো আমাদের নীতিমালার পরিপন্থী। এতে করে আমাদের কনটেন্ট নির্মাতাদের অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। আর কনটেন্ট নির্মাতাদের সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রেও এইসব বিজ্ঞাপন সহায়ক হিসেবে কাজ করে, যার ফলে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এই ভিডিও স্ট্রিমিং সেবাটি ব্যবহার করতে পারছেন।'

যারা এইসব থার্ড পার্টি অ্যাড ব্লকিং অ্যাপ ব্যবহার করে ইউটিউবের ভিডিও দেখতে চেষ্টা করছেন, তারা নানান বিড়ম্বনার সম্মুখিন হচ্ছেন। হয় তারা ভিডিও দেখতে বাফারিংয়ের সমস্যায় পড়ছেন অথবা ‘কনটেন্টটি অ্যাপে পাওয়া যাচ্ছে না’ এমন বার্তা দেখতে পাচ্ছেন।

কোম্পানি আরও যোগ করে যে, যারা ভিডিও দেখতে পুরোপুরি বিজ্ঞাপনবিহীন অভিজ্ঞতা পেতে চান, তাদের অবশ্যই ইউটিউবের প্রিমিয়াম গ্রাহক সেবায় সাইন আপ করে নিতে হবে।


সুত্রঃ বিডি নিউজ ২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.